শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ১২:২৩ অপরাহ্ন

News Headline :
পাবনায় “তারুণ্যের উৎসব ২০২৫”: আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্টের মধ্য দিয়ে নবাগত জেলা প্রশাসকের কর্মদিবস শুরু!! গোবিন্দগঞ্জে ত্যাগী নেতাদের মাঝে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ ১২০ শিক্ষার্থীদের পথচলা পুরাতন কাঠের তৈরি সাঁকো ভাঙ্গলেই সমস্যা হবে শেরপুরে নোবেল বিজয়ী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকে দুর্বৃত্তদের আগুন লাগানোর চেষ্টা মাদক সমাজের ক্যান্সার এটা প্রতিরোধে প্রশাসনের অনিহা-শিমুল বিশ্বাস গণমাধ্যমে বিকৃত তথ্য প্রচার ইসলামপুরে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর পক্ষ থেকে প্রতিবাদী ব্রিফিং কৃষি অফিসের সামনে থেকে প্রণোদনার সার-বীজ পাচার রাজনৈতিক দলের পদধারী কেউ প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির কোনো পদে থাকতে পারবে না-সারজিস আলম গাবতলীতে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের দাবিতে শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধ এই জনপদকে যারাই পদদলিত করেছে বাঙ্গালি তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছে-শিমুল বিশ্বাস

গারো পাহাড়ে খেজুর রস খেতে ভিড় করছেন সৌখিন পিপাসুরা

Reading Time: 2 minutes

শাহরিয়ার মিল্টন,শেরপুর :
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার মধুটিলা ইকোপার্কে যাওয়ার পথে সড়কের দুইপাশে দেখা মিলবে সারিসারি খেজুর গাছ। শীত মৌসুমের শুরু থেকেই ওই গাছগুলোতে মিলছে রস। ইতোমধ্যেই এখানকার খেজুর রসের খবর ছড়িয়ে পড়েছে পুরো জেলাজুড়ে। ফলে গারো পাহাড়ের টাটকা খেজুর রস খেতে কুয়াশাচ্ছন্ন ভোরে রসিক পিপাসুরা ছুটে এসে ভিড় করছেন পাহাড়ি এ এলাকায়। স্থানীয়রা জানান, মধুটিলা ইকোপার্ক সড়কের খেজুর গাছগুলো অনেক বছর যত্নের
অভাবে পড়েছিল। যদিও কয়েক বছর ধরে পরিচর্যা করা হচ্ছে। এ পরিচর্যার ফলেই বর্তমান রস সংগ্রহ করা যাচ্ছে। এছাড়াও নন্নী এলাকার আরও বেশ কিছু বাড়িতে খেজুর গাছ থেকে রস নামানো হচ্ছে । খেজুর রস খেতে গারো পাহাড়ে গত এক সপ্তাহ ধরে ভোর থেকে ভিড় করছেন সৌখিন রস পিপাসুরা। মধুটিলা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ভোর হওয়ার আগেই সৌখিন রস পিপাসুরা এসেছেন খেজুরের টাটকা মিষ্টি রস খেতে। আর এসব রস মাত্র ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই
বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। এখানে যারা এসেছে বেশির ভাগই শেরপুর শহরের তরুণ তরুণী। শেরপুর পৌর শহরের মোবারকপুর মহল্লার আখের মামুদ বাজার থেকে আসা খোকন মিয়া বলেন, খেজুর রসের কথা অনেক শুনেছি এবং ফেসবুকে বন্ধুদের ছবি দেখেছি এখান থেকে রস নিতে। কিন্তু কোনোদিন গাছ থেকে নামানো টাটকা রস খাইনি। তাই আজ বন্ধুদের নিয়ে রস খেতে আসলাম। যদিও শীতের সকালে বাইকে আসতে কষ্ট হয়েছে। কলেজ শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান হৃদয় এসেছেন একই মহল্লা থেকেই। তিনি জানান, টাটকা খেজুরের রস গতবারও এসে নিয়ে গেছেন। তাই এবারো এসেছেন। রাফসান ও সুমাইয়া শিমু দম্পতি এসেছেন রসের স্বাদ নিতে। তারা বলেন, যদিও খুব ঠান্ডা তবুও টাটকা রস আর ভোরের কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ খুব ভালো লেগেছে। এখানে রসের ব্যাপক চাহিদা। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই শেষ হয়ে যায় এ রস। আজই প্রথম গাছ থেকে নামানো টাটকা রস খেলাম,খুবই চমৎকার অভিজ্ঞতা। এটা স্মৃতি হয়ে থাকবে।
রস বিক্রেতা শামসুল হক জানান, এখানকার গাছ থেকে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ লিটার রস পাওয়া যায়। একটি গাছ থেকে দুই দিন পরপর রস সংগ্রহ করা হয়। মাটির হাঁড়ি ও প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে গাছ থেকে রস সংগ্রহ করা হয়। প্রতি গ্লাস খেজুর রস ১০ টাকা করে বিক্রি করা হয়। আবার অনেকে খুশি হয়ে ৫০ টাকাও দেন। গাছি আকবর আলী বলেন, এখানে সড়কের ধারে বেশ কিছু খেজুরগাছ রয়েছে। এরমধ্যে সবগুলো থেকে রস নামানো যায় না। তেমন একটা লাভ না হলেও এটা একটা সৌখিনতা। দূর দূরান্ত থেকে লোকজন আসে। এতে ভালো লাগে। ভোরে এলাকায় একটা হাট বাজারের মতো জমজমাট হয়ে যায়। খেজুরের রসে নিপা ভাইরাস সম্পর্কে জানতে চাইলে এ গাছি বলেন, আমরা নিপা ভাইরাস সম্পর্কেও অবগত আছি। তাই রস
সংগ্রহের পাত্র যতোটা সম্ভব নেট দিয়ে ঢেকে রাখি এবং রাতে পাহারার ব্যবস্থা করি।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com